শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফরিদগঞ্জে বাজার মনিটর করেছে বিশেষ টাস্কফোর্স ফরিদগঞ্জে মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা দেওয়ায় কুপিয়ে আহত ফরিদগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা হাসান রাজা পাটওয়ারীর দাফন সম্পন্ন বয়স বাড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স কমিয়ে রাজউকে চাকরি ঝুলে আছে খেলাপি ঋণের ২০ হাজার মামলা গণপিটুনিতে নিহত চেয়ারম্যান সেলিম খানের সেই অস্ত্র উদ্ধার রামদাসেরবাগ তা’লীমুল কোরআন নূরানী মাদ্রাসার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুপ্রবেশকারীদের বিএনপির কোন কমিটিতেই স্থান হবেনা : উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল খালেক পাটওয়ারী রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষাই বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

অর্ধহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন আদমদীঘির আব্দুল লতিফ মুক্তিযোদ্ধা মর্যাদা থেকে বঞ্চিত

Reporter Name / ১৯ Time View
Update : শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৫

আদমদীঘি(বগুড়া)সংবাদদাতা ॥ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানী হানাদারকে দেশ থেকে বিতারিত করে লাল সবুজের পতাকা নিয়ে দেশ স্বাধীন করে আজ জীবন যুদ্ধে হেরে যেতে বসেছেন (৭৪) বছর বয়সের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ স্ব্ধীনতার ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারী সকল সুজুক সুবিধা এমনকি মুক্তিযোদ্ধার ভাতা থেকে বঞ্চিত।

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ বর্তমানে একটি ফার্মে নাইট গাডের চাকুরী করে অধ্যহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কে দাঁড়াবে তার পার্শ্বে কে দিবে মুক্তিযোদ্ধার সর্ন্মান। তাঁর এফ এফ নম্বর-০৩৯১ । বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিয়ে কোন লাভ হয়নি।
আব্দুল লতিফ জানায়, ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে দেশকে হানাদারের হাত থেকে রক্ষা করতে জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেন। মাত্র ৩০ বছরের টকবগে যুবক, দেশের টানে ভারতের শিলিগুড়ি ক্যাম্পে ও কলকাতায় পলাশী নৌ কমান্ড বাহিনীর সাথে নৌ-পথের যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল, রাইফেল, স্টেনগান, এলএমজি, এসএমজি, গ্রেনেড ও বোমা তৈরীর উপর প্রশিক্ষণ নেয়। প্রশিক্ষণ শেষে নৌ-সেনা কমান্ড বাহিনীর একটি দল বাংলাদেশে প্রবেশ করে সরাসরি ৭নং সেক্টরে কমান্ডার মেজর জেনারেল কাজী নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে তিনি নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নদী পথে যুদ্ধ করেন।

এই দলে তার সাথে ছিলেন তার উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল, কাশেম, ওমর সহ অন্যান্যরা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর
রংপুর পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে ভারতীয় সার্টিফিকেট জমা দিয়ে বাংলাদেশি মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতি কর্ণেল ওসমানীর স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট পায়। সেই সার্টিফিকেট জিয়া সরকার ক্ষমতা আসার পর নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খোকন যাচাই-বাছাই করার জন্য সাটিফিকেট জমা দেয়।

এরপর সাটিফিকেট আর ফেরত পায়নি শেষ সম্ভল মুক্তিযোদ্ধার সাটিফিকেট টুকু হারায়। মুক্তিযুদ্ধের স্মরণীয় কোন ঘটনার কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি জানালেন নদী পথে বুকে বোমা নিয়ে অনেক পাক বাহিনীর সাথে তাদের এক ভয়াবহ যুদ্ধ হয়েছে। সেই দিন তিনি প্রানে বেচে গেলেও তার যুদ্ধা সঙ্গী উল্লা ও নজরুল মারাত্মক আহত হন। বর্তমানে তার পরিবারে ৪ ছেলে ৮ মেয়ে নাতী, নাতনী নিয়ে অর্ধহারে অনাহারে মানবেতার জাীবন যাপন করছে। সরকার তার রাষ্ট্রীয় ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আকুল আবেদন করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category