আদমদীঘি(বগুড়া)সংবাদদাতা ॥ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানী হানাদারকে দেশ থেকে বিতারিত করে লাল সবুজের পতাকা নিয়ে দেশ স্বাধীন করে আজ জীবন যুদ্ধে হেরে যেতে বসেছেন (৭৪) বছর বয়সের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ স্ব্ধীনতার ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারী সকল সুজুক সুবিধা এমনকি মুক্তিযোদ্ধার ভাতা থেকে বঞ্চিত।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ বর্তমানে একটি ফার্মে নাইট গাডের চাকুরী করে অধ্যহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কে দাঁড়াবে তার পার্শ্বে কে দিবে মুক্তিযোদ্ধার সর্ন্মান। তাঁর এফ এফ নম্বর-০৩৯১ । বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিয়ে কোন লাভ হয়নি।
আব্দুল লতিফ জানায়, ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে দেশকে হানাদারের হাত থেকে রক্ষা করতে জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেন। মাত্র ৩০ বছরের টকবগে যুবক, দেশের টানে ভারতের শিলিগুড়ি ক্যাম্পে ও কলকাতায় পলাশী নৌ কমান্ড বাহিনীর সাথে নৌ-পথের যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল, রাইফেল, স্টেনগান, এলএমজি, এসএমজি, গ্রেনেড ও বোমা তৈরীর উপর প্রশিক্ষণ নেয়। প্রশিক্ষণ শেষে নৌ-সেনা কমান্ড বাহিনীর একটি দল বাংলাদেশে প্রবেশ করে সরাসরি ৭নং সেক্টরে কমান্ডার মেজর জেনারেল কাজী নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে তিনি নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নদী পথে যুদ্ধ করেন।
এই দলে তার সাথে ছিলেন তার উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল, কাশেম, ওমর সহ অন্যান্যরা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর
রংপুর পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে ভারতীয় সার্টিফিকেট জমা দিয়ে বাংলাদেশি মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতি কর্ণেল ওসমানীর স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট পায়। সেই সার্টিফিকেট জিয়া সরকার ক্ষমতা আসার পর নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খোকন যাচাই-বাছাই করার জন্য সাটিফিকেট জমা দেয়।
এরপর সাটিফিকেট আর ফেরত পায়নি শেষ সম্ভল মুক্তিযোদ্ধার সাটিফিকেট টুকু হারায়। মুক্তিযুদ্ধের স্মরণীয় কোন ঘটনার কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি জানালেন নদী পথে বুকে বোমা নিয়ে অনেক পাক বাহিনীর সাথে তাদের এক ভয়াবহ যুদ্ধ হয়েছে। সেই দিন তিনি প্রানে বেচে গেলেও তার যুদ্ধা সঙ্গী উল্লা ও নজরুল মারাত্মক আহত হন। বর্তমানে তার পরিবারে ৪ ছেলে ৮ মেয়ে নাতী, নাতনী নিয়ে অর্ধহারে অনাহারে মানবেতার জাীবন যাপন করছে। সরকার তার রাষ্ট্রীয় ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আকুল আবেদন করেন।
এখানে কি লেখা হবে?
প্রধান উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা: এ্যাড: একেএম ফজলুল করিম, সম্পাদক: অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বিজয়, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুর রউফ তালুকদার, সহকারী সম্পাদক: অসীম কুমার সরকার, বার্তা সম্পাদক: হুমায়ূন কবির
প্রধান কার্যালয়: কালিয়াকৈর, গাজীপুর। শাখা অফিস: কটাপুর, বগুড়া। 01710 782253
Copyright©dainikbangladeshsomoy.com All rights reserved