শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফরিদগঞ্জে বাজার মনিটর করেছে বিশেষ টাস্কফোর্স ফরিদগঞ্জে মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা দেওয়ায় কুপিয়ে আহত ফরিদগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা হাসান রাজা পাটওয়ারীর দাফন সম্পন্ন বয়স বাড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স কমিয়ে রাজউকে চাকরি ঝুলে আছে খেলাপি ঋণের ২০ হাজার মামলা গণপিটুনিতে নিহত চেয়ারম্যান সেলিম খানের সেই অস্ত্র উদ্ধার রামদাসেরবাগ তা’লীমুল কোরআন নূরানী মাদ্রাসার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুপ্রবেশকারীদের বিএনপির কোন কমিটিতেই স্থান হবেনা : উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল খালেক পাটওয়ারী রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষাই বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

প্রাণভিক্ষার আবেদন দেখানো যাবে না : আইনমন্ত্রী

Reporter Name / ১১ Time View
Update : রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫

ঢাকা: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন দেখানো যাবে না। তা দেখাতে হলে রাষ্ট্রপতির অনুমতি লাগবে।আজ সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, ‘বিদেশি মদদদাতাদের খুশি করতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের পরিবার বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আইন মেনে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তাঁদের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। তাঁরা দুজন যে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ বা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই।’

সাংবাদিকরা তাঁদের প্রাণভিক্ষার আবেদন দেখতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের আবেদন দেখানো যাবে না। তা দেখাতে হলে রাষ্ট্রপতির অনুমতি লাগবে।’

মৃত্যুদ- কার্যকর করা নিয়ে বিদেশিদের কোনো চাপ ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘বিদেশি কোনো দেশের চাপ ছিল না। তবে কয়েকটি সংস্থা রায় যাতে কার্যকর না হয়, সে চেষ্টা করেছে।’

আবেদনে কী লেখা ছিল জানতে চাওয়া হলে আইনমন্ত্রী বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ইংরেজিতে এবং মুজাহিদ বাংলায় আবেদন করেন। তাঁরা দুজনই সংবিধানের ৪৯ অধ্যায়ের অধিকারের বলে এ আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি তাঁদের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি নাকচ করার পর এই রায় বাস্তবায়ন করা সরকারের দায়িত্ব হয়ে পড়ে। তাই সরকার সেই দায়িত্ব পালন করেছে। এ অধ্যায়ের মর্মার্থ হলো, অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করা।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির জানান, সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদ প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। এর পর রাত সাড়ে ৯টায় প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের সঙ্গে তাঁদের পরিবার সদস্যরা দেখা করেন। দেখা করার পর সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী দাবি করেন, তাঁর বাবা প্রাণভিক্ষা চাননি। তিনি বলেন, ‘বাবা বলেছেন, তিনি কোনো কাগজে স্বাক্ষর করেননি।’

মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর জানান, ‘তাঁর বাবা কোনো ধরনের প্রাণভিক্ষার আবেদন করেননি। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category