শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফরিদগঞ্জে বাজার মনিটর করেছে বিশেষ টাস্কফোর্স ফরিদগঞ্জে মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা দেওয়ায় কুপিয়ে আহত ফরিদগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা হাসান রাজা পাটওয়ারীর দাফন সম্পন্ন বয়স বাড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স কমিয়ে রাজউকে চাকরি ঝুলে আছে খেলাপি ঋণের ২০ হাজার মামলা গণপিটুনিতে নিহত চেয়ারম্যান সেলিম খানের সেই অস্ত্র উদ্ধার রামদাসেরবাগ তা’লীমুল কোরআন নূরানী মাদ্রাসার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুপ্রবেশকারীদের বিএনপির কোন কমিটিতেই স্থান হবেনা : উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল খালেক পাটওয়ারী রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষাই বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

আশরাফকে দপ্তরছাড়া করলেন হাসিনা

Reporter Name / ১৪ Time View
Update : শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০১৫

জিটিবি নিউজ ডেস্ক ঃ গত দুদিন ধরে চলা গুঞ্জনের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হারিয়েছেন আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার পর সবচেয়ে গুর”ত্বপূর্ণ পদধারী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানিয়েছেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এখন থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
মঙ্গলবার একনেক সভার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে তার মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পর সৈয়দ আশরাফ গুজবে কান না দিতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছিলেন।গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বিষয়টি নিশ্চিত করার পর মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজর”ল ইসলামের ছেলে আশরাফের তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অব্যাহতির ঘোষণা আসার আগে আশরাফ দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে ঘণ্টাখানেক একান্তে কথা বলেন। মোশাররাফ হোসাইন বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও মন্ত্রী থাকছেন সৈয়দ আশরাফ। তবে তার কোনো দপ্তর থাকছে না।আশরাফ বাদ পড়ায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে এসেছেন শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুলের শ্বশুর খন্দকার মোশাররফ। এই মন্ত্রণালয়ের অধীন র”রাল ওয়ার্কার্স প্রোগ্রামের প্রথম প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার মোশাররফ এলজিইডি বিভাগ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছিলেন।স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব পেলেও তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর শেখ হাসিনার সরকারে স্থান হয় খন্দকার মোশাররফের। ২০০৯ সালের মন্ত্রিসভায়ও তিনি শুর” থেকে রয়েছেন।গত বছরের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর দলে তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত আশরাফের বাদ পড়ার মধ্য দিয়ে কার্যত প্রথম পরিবর্তন এল। এর আগে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বাদ পড়েন। তবে তার মন্ত্রণালয় কাউকে দেওয়া হয়নি।
মন্ত্রণালয় এবং সরকারের গুর”ত্বপূর্ণ বিভিন্ন বৈঠকে অনুপস্থিতি নিয়ে আশরাফের সমালোচনা ছিল দলে। মঙ্গলবার একনেক বৈঠকে আশরাফকে না দেখে শেখ হাসিনা অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলে বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেছিলেন,প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উনি (আশরাফ) মিটিং-টিটিংয়ে আসেন না, এজন্য সরিয়ে দিলে ভালো হয়।এতে আশরাফকে অব্যাহতি দেওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব কোনো খবর না থাকার কথা জানান। এরপর আশরাফ তার নির্বাচনি এলাকা কিশোরগঞ্জে সাংবাদিকদের বলেন, কোনো গুজবে কান দেবেন না।
গত সাত বছর ধরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সামলে আসা ৬৩ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদেও রয়েছেন প্রায় একই সময় কাল।২০০৭ সালে জর”রি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বন্দি হওয়ার প্রেক্ষাপটে দলে সাধারণ সম্পাদকের গুর”ত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের ভার আসে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সৈয়দ নজর”লের ছেলে আশরাফের উপর।তখন বিরূপ পরিস্থিতিতে আশরাফের সফলতার মধ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল পরে মুক্তি পেলেও দায়িত্বে আর ফিরতে পারেননি। পরে ২০০৯ সালে কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আশরাফ।
তার আগে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার সরকারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আশরাফ। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন করলে দলের সাধারণ সম্পাদককে একই মন্ত্রণালয়ই দেন শেখ হাসিনা।বাংলাদেশে রাজনীতিক দলগুলো সরকার গঠনের ক্ষেত্রে সাধারণ সম্পাদককে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বটি দিতে স্বচ্ছন্দ। এর আগে শেখ হাসিনার সরকারে জিল্লুর রহমানও একইভাবে এই মন্ত্রণালয়ে ছিলেন। বিএনপির ক্ষেত্রেও একই বিষয় দেখা যায়।কিশোরগঞ্জের সংসদ সদস্য আশরাফ ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর জেলখানায় সৈয়দ নজর”ল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর লন্ডনে চলে যান আশরাফ। সেখানে আওয়ামী লীগে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনার ওই সরকারে বে-সামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হন আশরাফ। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন তিনি।বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ চার সহচরের মধ্যে তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকারে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। পরে তিনি পদত্যাগ করেন। জাতীয় চার নেতার পরিবারের মধ্যে এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীরও সদস্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category