শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ফরিদগঞ্জে বাজার মনিটর করেছে বিশেষ টাস্কফোর্স ফরিদগঞ্জে মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা দেওয়ায় কুপিয়ে আহত ফরিদগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা হাসান রাজা পাটওয়ারীর দাফন সম্পন্ন বয়স বাড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স কমিয়ে রাজউকে চাকরি ঝুলে আছে খেলাপি ঋণের ২০ হাজার মামলা গণপিটুনিতে নিহত চেয়ারম্যান সেলিম খানের সেই অস্ত্র উদ্ধার রামদাসেরবাগ তা’লীমুল কোরআন নূরানী মাদ্রাসার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুপ্রবেশকারীদের বিএনপির কোন কমিটিতেই স্থান হবেনা : উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল খালেক পাটওয়ারী রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষাই বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় ‘হঠাৎ দেখা’য় অভিনয় করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন

Reporter Name / ১৫ Time View
Update : বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৫

ঢাকা: নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। একসময়ের বাংলা সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রি ছিল তার দখলে। ‘বেদের মেয়ে জোছনা’সহ অসংখ্য দর্শকনন্দিত ৩০০টিরও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। মাঝখানে দীর্ঘদিন পর্দায় বাইরে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় ‘হঠাৎ দেখা’ চলচ্চিত্রে মধ্য দিয়ে ফের ‘নায়ক’ হিসেবে আবির্ভুত হলেন তিনি। তার নায়িকা কলকাতার প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী দেবশ্রী। ছবিতে তার কাজের অভিজ্ঞতাসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে বাংলামেইলের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় ‘হঠাৎ দেখা’অভিনয় করছেন আপনি। সঙ্গে আছে কলকাতার অভিনেত্রী দেবশ্রী। কাজ করে কেমন লাগছে? 
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ছবিটির শুটিং শুরু হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতা অবলম্বনে ছবিটির নির্মাণ করছেন শাহাদাৎ হোসেন বিদ্যুৎ ও কলকাতার রেশমী মিত্র। দুই দেশেই ছবির শুটিং হবে। বাংলাদেশের লোকেশনে আমার ও দেবশ্রীর শুটিং শেষ হয়েছে। ভারতে শুটিংয়ের সিডিউল এখনো পায়নি। হয়তো শিগগিরই পাবো। দেবশ্রীর অনেক সিনেমা আমি দেখেছি। এবার তার সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাটা দারুণ। গুণী শিল্পী। তার সঙ্গে কাজটা করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।

আপনাকে আগের মতো নিয়মিত চলচ্চিত্রে দেখা যায়না…
সত্যি বলতে আমাকে তো সিনেমায় নেয়না। যখন আমি চলচ্চিত্রে নাম্বার ওয়ান ছিলাম তখন বছরে শতাধিক সিনেমা মুক্তি পেত। তার বেশিরভাগ সিনেমায় আমি থাকতাম। কিন্তু এখন সিনেমা নির্মাণই কমে গেছে। বছরে বড়জোর পঞ্চাশটা ছবি মুক্তি পায়। সেগুলোতে এখনকার ইয়াং নায়কদের মধ্যে শাকিব, ইমনরাই অভিনয় করছে। আমাদের বয়স বেড়েছে। আমাদেরকে নিয়ে আলাদা করে গল্প হচ্ছে না। তারপরও আমি মনে করি নিয়মিত অভিনয়ের সামর্থ্যটা আছে। চাইলে করতে পারি। কিন্তু করছিনা। কারণ ছবি করে আমি দেখাবো কাকে? সিনেমার হলগুলোর পরিবেশই তো ভালোনা। হলগুলো তো কম্যুনিটি সেন্টারের মতো হয়ে গেছে। কম্যুনিটি সেন্টারে পর্দা ফেলে ডিজিটাল ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে। মেশিন ভাড়া করে আমার ছবি কম্যুনিটি সেন্টারে দেখাবোনা।

তাহলে বাংলা চলচ্চিত্রের অগ্রগতির পেছনে হলগুলোকে অন্তরায় ভাবছেন?
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবকিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। কিন্তু যেটা আসল মানে সিনেমা হল সেখানেই লাগেনি। হলগুলো এখনো সেই মান্ধাত্বার আমলের মতোই চলছে। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের রুচিরও পরিবর্তন হয়েছে। সেটা মাথায় রেখেই দেশের সিনেমা হলগুলোর দিকে নজর দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু এতদিনেও তার পরিবর্তন হয়নি। এটাই সবচেয়ে দু:খজনক ঘটনা। আগে হল মালিকদের নিজেদের মেশিন ছিল। তার পরিবর্তে এখন এসেছে ডিজিটাল পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে দেখা যায়, বানানোর সময় ভালো রেজ্যুলেশন থাকলেও হলে প্রদর্শনের সময় রেজ্যুলেশন বাজে দেখা যায়।

হলগুলোর উন্নয়নে সরকার কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?
সরকারের অনেক কিছুই করার আছে। আমাদের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গের হলের অবস্থা  একসময় বেশি খারাপ ছিল। তারা একটা সময় আমাদের পঁচিশ-তিরিশ লাখ টাকা দিয়ে সিনেমা বানিয়ে নিয়ে যেতো। কিন্তু সেখানকার হলগুলোতে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। ওখানকার হল মালিকরাও আপগ্রেড। সেদেশের সরকার মালিকদের জন্য বিনা সুদে লোনের ব্যবস্থা করেছে। মালিকরা লোন নিয়ে হলের উন্নয়ন করেছে। সিনেমা দেখার সুন্দর একটা পরিবেশ হয়েছে। মানুষজন হলে বসে সিনেমা দেখছে। যার ফলে ছবির বাজেটও বেড়েছ। সুন্দর সুন্দর লোকেশনে শুটিং হচ্ছে। পাশাপাশি ওরা টেকনিক্যালি অনেক ভালো অবস্থানে গেছে। একই কায়দায় বাংলাদেশেও হলগুলোর উন্নতি করা যেতে পারে। বিষয়টি নিয়ে আমি বহুবার বলছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।

আমাদের সীমাবদ্ধতা কোথায়?
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য কিছু যদি করে থাকে তাহলে তা বঙ্গবন্ধুই করেছে। অনেক প্রতিকূলতাকে সামনে রেখে তিনি এফডিসি নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু তিনি চলে যাওয়ার পর ইন্ডাস্ট্রি বাপ-মা হারা হয়েছে। কেউ আর এগিয়ে আসেনি। বাপ-মা ছাড়াই চলছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি। বাপ-মা ছাড়া সন্তান কিভাবে বেড়ে উঠে? বঙ্গবন্ধুর আদর্শে যারা রাজনীতি যারা করছে তাদেরকেও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি। উল্টো পাশের দেশের চলচ্চিত্র দেশে প্রদর্শন চলছে।

যৌথ সিনেমাও তো বিতর্ক চরমে। ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি?
সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে করলে ঠিক আছে। কিন্তু এর পেছনে যদি কোন উদ্দেশ্য থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই খারাপ। যৌথ প্রযোজনার তো একটা নীতি আছে। সেই নীতির ভেতর করলে সমস্যা দেখিনা। কিন্তু নীতিলঙ্ঘণ করলে সেটা তো অবশ্যই মন্দকাজ।

এখন তো অনেক সিনেমাও নকল হচ্ছে..
আটত্রিশটা গল্প থেকে হাজার গল্প তৈরী হয়েছে। প্রত্যেকটা গল্পই যে যার মতো করে তৈরী করে। একটা সিনেমা ফ্রেম টু ফ্রেম করলে সেটা অবশ্যই উচিত না। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে অনেক কিছু নকল হলেও একজন আরেকজনের অভিনয়টা কিন্তু নকল করতে পারেনা। নকলের চেষ্টা করলেও তার মধ্যে নিজস্ব কিছু ঢকে যায়। একইভাবে ক্যামেরাম্যানও একই লোকেশনে কাজ করেনা। তাই গল্পটা হয়তো কিছুটা মিলে যায়। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে যাতে খুব বেশি মিলে না যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category