ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : জাপানের নাগাসাকি শহরে যুক্তরাষ্ট্রের আণবিক বোমা নিক্ষেপের ৭০ বছর পালিত হয়েছে। হিরোশিমায় বোমা হামলার তিন দিন পর, ১৯৪৫ সালের ৯ই অগাস্ট যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় পারমাণবিক বোমাটি ফেলেছিল জাপানের নাগাসাকি শহরে। ওই হামলায় শহরের ৭০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। গতকাল রোববার এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে নাগাসাকি দিবসের প্রধান অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে নাগাসাকি পিস পার্কে।
শুরুতে বোমা নিক্ষেপের মুহূর্তটিতে স্থানীয় সময় ১১টা ২ মিনিটে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর নাগাসাকির মেয়র তোমিহিসা তাউয়ে একটি শান্তি ঘোষণা পাঠ করেন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী জিনজো আবে বলেন, ‘পরমাণু অস্ত্রমুক্ত একটি বিশ্ব গড়ার চাপ সৃষ্টিতে জাপান দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
নাগাসাকির ওই আণবিক হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া ৮৬ বছরের সুমিতেরো তানিগুচি সেদিনের দুঃসহ স্মৃতি বর্ণনা করেন। এরপর নাগাসাকি দিবস উপলক্ষে দেওয়া জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের বিবৃতি পড়ে শোনানো হয়। ওই বিবৃতিতে মুন বলেছেন, ‘বিশ্বে নাগাসাকিই হচ্ছে একমাত্র ঘটনা-কেননা ভবিষ্যতে আমরা আর কোনো পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেব না। কেননা এর মানবিক পরিণতি খুবই ভয়াবহ। তাই নয় কোনো নাগাসাকি-নয় কোনো হিরোশিমা।’
এছাড়া নাগাসাকির যে গির্জাটির উপর এটম বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল, ধ্বংস হওয়ার পর পুনর্নির্মিত সেই গির্জাটিতে রোববার নিহতদের স্মরণে একটি প্রার্থনা সভা হয়। প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট সকালে জাপানের হিরোশিমা শহরে লিটল বয় এবং ৯ আগস্ট নাগাসাকি শহরে ফ্যাটম্যান নামের পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে। তবে নাগাসাকিতে বোমা ফেললেও, এটি তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল না। তাদের মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল কোকুরা শহর। সেটি মেঘে ঢাকা থাকায় বিকল্প লক্ষ্য হিসেবে এই শহরে বোমা ফেলা হয়। কিন্তু এ মর্মান্তিক ঘটনার জন্য কখনো অনুতাপ করেননি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান ।
এখানে কি লেখা হবে?
প্রধান উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা: এ্যাড: একেএম ফজলুল করিম, সম্পাদক: অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বিজয়, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুর রউফ তালুকদার, সহকারী সম্পাদক: অসীম কুমার সরকার, বার্তা সম্পাদক: হুমায়ূন কবির
প্রধান কার্যালয়: কালিয়াকৈর, গাজীপুর। শাখা অফিস: কটাপুর, বগুড়া। 01710 782253
Copyright©dainikbangladeshsomoy.com All rights reserved