জিটিবি নিউজ ডেস্ক ঃ কর্নেল তাহেরকে অন্যায়ভাবে হত্যার জন্য বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এছাড়া তিনি যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে চিরতরে বিতাড়নের জন্য রাজনীতিক ঐক্য গড়ে তোলারও উদাত্ত আহ্বান জানান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তথ্যমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহেরের ৩৯তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল কার্যালয়ে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
জাতীয় শ্রমিক জোট সভাপতি শিরিন আকতার এমপি, কর্নেল তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহের এমপি, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, জাতীয় নারীজোটের সভাপতি আফরোজা হক রীনা, জাসদ মহানগরের প্রধান সমন্বয়ক মির হোসেন আখতার প্রমুখ তাদের আলোচনায় কর্নেল তাহেরের ত্যাগ ও বিপ্লবী আদর্শ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ।
হাসানুল হক ইনু বলেন, জেনারেল জিয়া তার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে গভীর ষঢ়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ১৯৭৬ সালের এই দিনে আদর্শবান মুক্তিযোদ্ধা তাহেরকে হত্যা করেন। বীর উত্তম কর্নেল তাহেরকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করার সাথে সাথে ইতিহাসের খলনায়ক জিয়াউর রহমানসহ সকল হত্যা খুনের অপরাধীদের মরণোত্তর বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য নিজের এবং জাসদের পক্ষ থেকে দেশবাসী ও সকল সংসদ সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী এ সময় বিশ্বের অন্যান্য দেশে এধরনের ঘৃণ্য অপরাধের জন্য প্রচলিত মরণোত্তর বিচার ব্যবস্থার উদাহরণ তুলে ধরেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির আমদানী, যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের পুণর্বাসন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে খাটো করা, ইতিহাসবিকৃতি, বঙ্গবন্ধু ও গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানোর গভীর ষড়যন্ত্র চরিতার্থ করতে জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছেন। কিন্তু কর্নেল তাহের আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেলেও জেনারেল জিয়া তার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেননি।
গোপন বিচারে দেশপ্রেমিক কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা যে অন্যায় ছিল এবং জেনারেল জিয়া যে একজন ঠান্ডামাথার খুনী, আদালতের রায়ে তা আজ সুস্পষ্ট’ উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘জিয়া এবং তার উত্তরসূরীরা ক্যান্টনমেন্টকে কসাইখানা বানিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে হত্যার জঘন্য অপচেষ্টা করেছেন, আগুনসন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছেন। জেনারেল জিয়ার সেই চক্রান্তের জাল আর সামরিক শাসন-সাম্প্রদায়িক-আগুনসন্ত্রাসের জঞ্জাল থেকে দেশকে মুক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক ধারায় এগিয়ে নিয়ে যাবার পথে রাজনীতির খলনায়ক জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরী আগুনসন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদীদের সাথে কোনো ছাড় বা আপোশের সুযোগ নেই।
যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গিবাদী অপশক্তির দিকে ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, হয় ওরা থাকবে, না হয় আমরা। আর মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া বাংলাদেশে আমাদেরই বিজয় হবেই। রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলে যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে চিরতরে বিতাড়নের মাধ্যমে কর্নেল তাহেরসহ সকল বীরকে স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনার উদাত্ত আহ্বান জানান হাসানুল হক ইনু। এর আগে বীর উত্তম কর্নেল তাহের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে জাসদ সভাপতি কর্নেল তাহেরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন । দলের নেতাকর্র্মীরাও এ সময় তাহেরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এখানে কি লেখা হবে?
প্রধান উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা: এ্যাড: একেএম ফজলুল করিম, সম্পাদক: অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বিজয়, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুর রউফ তালুকদার, সহকারী সম্পাদক: অসীম কুমার সরকার, বার্তা সম্পাদক: হুমায়ূন কবির
প্রধান কার্যালয়: কালিয়াকৈর, গাজীপুর। শাখা অফিস: কটাপুর, বগুড়া। 01710 782253
Copyright©dainikbangladeshsomoy.com All rights reserved